অর্পিতা ঘনিষ্ঠরা বহিষ্কার হতেই দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক বিপ্লব অনুগামীদের, তিন জেলা পরিষদের সদস্যকে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন জেলা সভাপতি
পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৯অক্টোবর- বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলো জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সহ মোট তিন সদস্য। শনিবার প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার পরেই বিপ্লব অনুগামীদের দলে ফেরার হিড়িক লেগে যায়। সোমবার বিপ্লব ঘনিষ্ঠ তিন জেলাপরিষদ সদস্য সহ তাদের কয়েকশো অনুগামী বিজেপি ছেড়ে পুনরায় তৃণমূলে ফেরেন। লোকসভা ভোটে তৃনমুলের হারের পর জেলা সভাপতির পদ থেকে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে অর্পিতা ঘোষ কে সেই জায়গায় বসান রাজ্য নেতৃত্ব। যার কারনে কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়ে তার অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যান বিপ্লব মিত্র। যারপর অর্পিতার হাত ধরে বেশকিছু বিপ্লব অনুগামী তৃণমূলে ফিরলেও জেলা পরিষদের তিন সদস্য চিন্তামণি বিহা, প্রতিভা মন্ডল এবং মফিজুদ্দিন মিয়া বিজেপিতেই থেকে যান। যদিও তারপর মফিজ উদ্দিন মিয়া বিজেপি ছেড়ে নির্দল হিসাবে নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন। এরপর রাজ্য নেতৃত্বের হাত ধরে বিপ্লব মিত্র তৃণমূলে ফিরতেই শুরু হয় তার অনুগামীদেরও ফের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা।
এদিন বালুরঘাটের কাঠালপাড়া এলাকায় জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তিন সদস্যকে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি গৌতম দাস। অর্পিতা ঘনিষ্ঠ ৩ নেতৃত্বের বহিষ্কারের পরেই বিপ্লব অনুগামীদের ফের দলে ফেরা এক অন্য বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন ওই তিন সদস্যর আরও প্রায় ২৫০ জন অনুগামী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। এদিনের এই দলবদল কর্মসুচিতে জেলা সভাপতি গৌতম দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, বিপ্লব মিত্র, ললিতা টিগ্গা, সুভাষ চাকী, মিডিয়া কনভেনর জয়ন্ত দাস সহ অন্যান্যরা।
বিপ্লব মিত্র জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে এই দলবদল অনেকটাই কার্যকরী হবে।
যদিও বিজেপির দাবি দীর্ঘদিন ধরে এই নেতৃত্বরা তাদের দলে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিলেন। ফলে তাদের চলে যাওয়াতে দলে কোনো প্রভাবই পড়বে না বলেই মনে করেন তারা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলের ফিরে এসেছেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সহ তিন সদস্য। যাদের দলে ফেরায় ভোটের আগে আরো শক্তিশালী হল তৃণমূল।