রায়গঞ্জ:—--শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও অপরাধ দমনের লক্ষ্যে রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাহিন জমিদার বাড়িতে বসল পুলিশ ক্যাম্প। উপকৃত হতে চলেছে রায়গঞ্জ ব্লকের বাহিন, গৌরী ও মাড়াইকুড়া গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ গ্রামের মানুষ। ভগ্নদশাগ্রস্ত জঙ্গলাকীর্ণ প্রাসাদপমো জমিদারবাড়ি আগাছা কেটে পুলিশ ক্যাম্প তৈরী হওয়ায় খুশী এলাকাবাসি। জেলা পুলিশের দাবি এখানে পূর্নাঙ্গ পুলিশ ফাঁড়ি তৈরী হবে।
রায়গঞ্জ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ঐতিহ্যবাহী বাহিন জমিদারবাড়ি। ষাট থেকে সত্তর দশকে জমিদার পরিবার এই বিশাল দূর্গ ছেড়ে রায়গঞ্জ রবীন্দ্রপল্লীতে আসেন।দীর্ঘদিন রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে চারিদিকে আগাছায় ভরে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দরজাজানালা ভেঙ্গে নিয়ে চলে যায়।দেওয়ালে প্লাস্তারা খসে পড়ে।এককথা সমাজবিরোধীদের অনুকূল ক্ষেত্র গড়ে উঠেছিল এই জমিদার বাড়ি।বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাগর নদী।নদী পের হলেই বিহার রাজ্য।বিহার থেকে সমাজবিরোধী বাংলায় এসে অসামাজিক কাজকর্ম করে বিনা বাঁধায় বিহারে ফিরে যায়।রায়গঞ্জ থানা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে হওয়ায় রায়গঞ্জ পুলিশ খুব বেশী সেখানে নজর দিতে পারে না। বাহিন জামিদার এই বিশাল সম্পত্তি ছেড়ে আসার পর তারা রক্ষনাবেক্ষনে নজর দিতে না পারায় রক্ষনাবেক্ষনের ভার ভারত সেবাশ্রম সংঘের হাতে অর্পন করে।তবে ভারত সেবাশ্রম সংঘ সেইভাবে রক্ষনাবেক্ষনে নজর না দেওয়ায় জমিদারের বংশধরদের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে ঝোপঝাড় জঙ্গল কেটে সেখানে তৈরী হল পুলিশ ক্যাম্প।বাহিনে পুলিশ ক্যাম্প তৈরী হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা খুশী। বাসিন্দাদের অভিযোগ,এই ভগ্নাগ্রস্থ জমদারবাড়িতে শহরের বিভিন্ন এলাকার যুবকরা এসে অসামাজিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ত।ভয়ে তাদের কিছু বলা সম্ভব হত। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঠিকমত আসত না।ফলে তাদের চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হত।আজ সেই পরিস্থিতি বদলে দিয়ে পুলিশ ক্যাম্প তৈরী হয়েছে। পুলিশী নিরাপত্তার মধ্যে তারা ব্যবসাবানিজ্য করতে পারবেন। এলাকায় কোন সমস্যা হলে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌছে যাবে।