দিঘী সংস্কার নিয়ে তপন বাসীর স্বপ্ন আজ বিশবাও জলে, একবছর পরেও আগাছায় ডুবে প্রাচীন দিঘী। সিদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা।

0
528

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৩অক্টোবর— তপন দিঘি নিয়ে জেলাবাসীর পর্যটনশিল্পের আশা আজ অথৈ জলে। প্রায় একবছর পরেও দিঘীর সংস্কার করে উঠতে পারেনি ঠিকাদার সংস্থা। আগাছা ও নোংরা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে প্রাচীন দিঘী। সিদুরে মেঘ দেখছে তপনের বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক উদাসীনতারও। সম্প্রতি ঘটা করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দিঘি সংস্কারের কাজ শুরু হলেও বর্ষার জলে সেই মাটি ধুয়ে তা আগের চেয়েও খারাপ অবস্থায় পরিনত হয়েছে প্রাচীন তপন দিঘীর। এলাকা থেকে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতিই সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা বলেও  অভিযোগ বাসিন্দাদের। কাজ সম্পূর্ণ না হতেই কেন এমন তাড়াহুড়ো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।

 
    উল্লেখ্য সম্প্রতি তপন দিঘি নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। প্রায় ৮৩ একর জায়গায় অবস্থিত দীঘি সংস্কারের জন্য রাজ্য মৎস্য দপ্তর ৩৭ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। মেদিনীপুরের এক ঠিকাদার সংস্থা ওই কাজ শুরু করে। মজে যাওয়া দিঘির অংশ থেকে মাটি তুলে গভীরতা বাড়ানো সহ দিঘির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল, যাতায়াতের রাস্তা, অতিথি আবাস, কোল্ডস্টোরেজ সহ একাধিক কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ কয়েকমাস দিঘী খননের কাজ চললেও বর্ষায় সেই মাটি পুনরায় দিঘীতে গিয়ে জমেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নতুন করে আগাছা ও কচুরিপানায় ভরে উঠেছে প্রাচীন দিঘী। আর যাকে ঘিরেই দুশ্চিন্তার ভাজ জমেছে বাসিন্দাদের কপালে। নতুন করে আবার দিঘী খননের কাজ কি করে করবে ওই ঠিকাদার সংস্থা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে কিছুটা হোচট খেয়েছেন ওই ঠিকাদার সংস্থাও। যাদের উত্তরেও কিছুটা উস্কে উঠেছে তপন দিঘীর ভবিষ্যৎ নিয়ে। আর এতেই সিদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা।


   স্থানীয় বাসিন্দা পিয়ালী রায়, মাসুল রানা সরকার ও পারভেজ সরকাররা জানিয়েছেন, একবার টাকা খরচ করে দিঘী থেকে মাটি তোলা হয়েছে। ফের ওই মাটি বৃষ্টির জলে দিঘিতে পড়েছে। নতুন করে আগাছাও গজিয়ে আগের থেকেও ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে তাদের স্বপ্নের দিঘী। সরকার এবং ঠিকাদার গোষ্ঠীর অবহেলার কারণেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে। তপন দিঘিকে ঘিরে জেলার পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে সন্দিহান এখন সকলেই। 

       কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার ম্যানেজার অতনু খাড়া জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে দিঘির চারপাশের মাটি পুনরায় দিঘিতে গিয়ে পড়েছে। যে বিষয়টি কিছুটা হলেও মাথা ব্যাথা বাড়িয়েছে তাদের। করোনার জন্য এখন তাদের শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে কনস্ট্রাকশনের কাজ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখা হবে।

         তপন ব্লকের বিডিও মাসুদ করিম শেখ জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে বিষয়টি প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে উর্ধতন কতৃপক্ষ কে জানানো হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here