তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেল খাটতে হয়েছে, কাজ করতে চাইলে চোখ রাঙানি, পুলিশি মামলায় ফাঁসানোর হুমকি ,বুথ ভিত্তিক কর্মীসভায় ক্ষোভ।

0
1051

শীতল চক্রবর্তী, গঙ্গারামপুর ,12 অক্টোবর, দক্ষিণ দিনাজপুর:- বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল করার পরেও জেলা ঘাটতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের জন্য বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলীয় কর্মীরা। কেউ আবার বললেন কাজ করতে চাইলেও হাজারো বাঁধা, চোখ রাঙ্গানি, এমনকি পুলিশি মামলায় ফাঁসিয়ে দেবার ভয় দেখানো হয়। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে রবীন্দ্রভবনে ৪১ গঙ্গারামপুর বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে নিচুস্তরের নেতাদের কাছ থেকে এমনি মন্তব্য শুনতে হল জেলা সভাপতি সহ একাধিক তৃণমূল নেতাদের। জেলা সভাপতি অবশ্য জানালেন, দল বড় হলে এমনটা হয়। এই সমস্যা মেটানোর জন্যই এমন সভা করার ইচ্ছে।


বিগত ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে গৌতম দাস গঙ্গারামপুর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। গৌতম দাস তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন এক বছরের বেশি সময় আগে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে তাকে জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি করেছিলেন। পরে তাকেই জেলা সভাপতি করা হয় দলের তরফে। গত লোকসভা ভোটে গঙ্গারামপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসের বিধানসভা গঙ্গারামপুর এর বিধায়ক গৌতম দাসের বিধানসভা আসন থেকে প্রায় তিন হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে যায়। বর্তমানে গৌতম দাস জেলা সভাপতি হয়েছেন। সোমবার ছিল তার বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা। সেখানে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের তৃণমূল এর বুথ সভাপতি, ও গঙ্গারামপুর ও তপন ব্লকের নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত বুথের সভাপতি থেকে এলাকার তৃণমূল নেতারা হাজির হয়েছিলেন।
সেখানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কোন মেনুর তথা কোর কমিটির সদস্য জয়ন্ত কুমার দাস, চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, বিধায়ক তোরাপ হোসেন মন্ডল, কনভেনোর ললিতা টিক্কা, সুভাষ চাকী, সভাপতি লিপিকা রায়, সংখ্যালঘু সেল এর জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক, গঙ্গারামপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি অশোক বর্ধন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অতনু রায়, মহিলা নেত্রী সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাতে বক্তব্য দিতে গিয়ে দমদমা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তপন মজুমদার বক্তব্য রাখেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল করার পরেও জেল খাটতে হয়েছে তৃণমূল নেতার জন্য দলের ক্ষোভ উগরে দেয় ওই নেতা। এমনটা কেন হয়। তপন ব্লক এর এক নম্বর রামপাড়া চাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল তৃনমূল নেতা জানালেন, প্রধান প্রধানের মদ চলেন। ব্লগ ও অঞ্চল তৃনমূল নেতাদের পাত্তা দেননা। তিনি দলকে উপেক্ষা করে চলছেন। দলে সমন্বয় সাধন না হলে আমাদের ক্ষতি হবে। সেটা দেখা উচিত।
আরেক অঞ্চল তৃনমূল নেতা তো বলেই ফেললেন, কাজ করতে চাইলেও হাজারো বাধা, চোখ রাঙ্গানি, এমনকি পুলিশি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় তাদের তরফ। এমনটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। এসব বিষয়ে শোনার পরে বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস জানালেন, দশ বড় হলে এমনটা হয়। এই সমস্যা মেটানোর জন্যই এমন সভা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here