শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ২৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর:- শহর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বন্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনোর তথা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য জয়ন্ত কুমার দাস। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাসের নির্দেশে সেইসঙ্গে শহর এলাকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে সকাল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি এলাকার নদী সংলগ্ন এলাকা ও তার পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কেশপুরের বন্যা কবলিত মানুষজনদের কাছে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। ইতিমধ্যে সমস্যার পরা শিববাড়ী এলাকার মানুষজনদের জন্য তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি জিআর ত্রিপল সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেন তিনি। তার এমন কাজ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। জয়ন্ত বাবু জানালেন মানুষের পাশে আমাদের সরকার রয়েছে, আর আমরাও সেই সমস্যার দিনে তাদের পাশে সব সময় থাকবো।
আশ্বিনের টাকা কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে পূর্নভবা নদীর জল চরম বিপদজনক ভাবে বয়ে চলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গঙ্গারামপুর শহর, লোকের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন ব্লকেও। বেশ কয়েকটি নদী বাদ দিয়ে জল চয়ানোর ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও পুরসভার চেয়ারপার্সন বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করে গিয়েছেন।
গঙ্গারামপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের শিববাড়ি নদীসংলগ্ন, এলাকার বসবাসকারী বাসিন্দারা নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তারা বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাদের কি পরিস্থিতি রয়েছে সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস এর নির্দেশে সোমবার বিকেলের পর মঙ্গলবার সকাল ওই সমস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান ওয়ার্ডের বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনোর তথা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য জয়ন্ত কুমার দাস। তার সঙ্গে ছিলেন 15 নাম্বার প্রাক্তন কাউন্সিলর দীনেশ হেমরম, ওয়ার্ড তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত সরকার, যুব তৃণমূল নেতা গৌড় সাহা, ছাত্র নেতারা বন্যাতে সমস্যার মধ্যে পড়া বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে তারা কেমন আছে তাদের কি সমস্যা হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। সোমবার বিকেলেই বন্যা কবলিত মানুষজনদের হাতে জিআর টোকন তুলে দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি পাইয়ে দেবার জন্য ব্যবস্থা করেছেন। এলাকাবাসীদের জন্য পুরসভার থেকে তৈরি করা রাস্তা উঁচু করা, ও নদী বাঁধ বেঁধে দেয়ার দাবি জানান। জানতে হবে আশ্বাস দেন, এই সমস্যা মিটে গেলে সেচ দপ্তরে তিনি এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এরপরেও তিনি জাহাঙ্গীরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শহর সংলগ্ন, এলাকার কেশর পুরে ঘুরে দেখেন বন্যার মধ্যে সমস্যায় পরা মানুষজনদের সঙ্গে তিনি কোথাও বলেন।
তৃণমূলের মিডিয়ায় কনভেনোর তথা কমিটির সদস্য জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন, সমস্যার মধ্যে পরা এলাকাবাসীদের খোঁজ খবর নিতে এখানে আসা হয়েছিল। আমরা মানুষের পাশে আমাদের সরকার রয়েছে, আর আমরাও এই সমস্যার দিনে তাদের পাশে সব সময় থাকবো। জেলা তৃণমূলের সভাপতির কথামতো আমরা কাজ করে যাচ্ছি আর করে যাব।
15 নাম্বার ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীনেশ হেমরম জানিয়েছেন, খবর পেতে এখানে আসা হয়েছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি আর থাকবো।
এমন অসময়ে নেতাদের পাশে পেয়ে এলাকাবাসী নারায়ণ সরকার, সূর্য সাহা, মোহন দাস, মাখন চৌধুরী, সহ আরেক এলাকাবাসী বাসিন্দা জানালেন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সহযোগিতা করেছেন তাই তাদের ধন্যবাদ জানাই। রাস্তাটা যদি একটু উঁচু হয়ে এবং নদীবাঁধ বেঁধে দেওয়া হয় সেই দাবি জানাই। উনি আশ্বাস দিয়েছেন খুবই ভালো লাগছে।
জেলা তৃণমূলের এই নেতা জয়ন্ত কুমার দাসের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহর এলাকার বাসিন্দারা।