শীতল চক্রবর্তী,হরিরামপুর,দক্ষিণ দিনাজপুর,১০সেপ্টেম্বর:— সর্বসম্মতি আলোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে নিজের এলাকায় উন্নয়নের কাজ গুছিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রধান কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালো ওই পঞ্চায়েতেরই সমস্ত মেম্বাররা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের শিরশী গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য বিরোধী মেম্বারসহ তৃণমূল মেম্বারদেরও অভিযোগ শিরশী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জনা সরকার পঞ্চায়েতের সমস্ত এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ গুলি বন্ধ করে ক্ষমতার বলে শুধুমাত্র নিজের এলাকার কাজগুলিকে টেন্ডার করেছেন বলে তাদের অভিযোগ।
যদিও প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে সমস্ত নিয়ম মেনে উন্নয়নমূলক কাজ গুলি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশের নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য সরকার সমস্ত এলাকা র উন্নয়নমূলক কাজ করার পাশাপাশি st,sc এলাকা য় উন্নয়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক হরিরামপুর ব্লক এর তৃণমূল পরিচালিত শিরশী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও মেম্বাররা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ গুলি করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১২ টি মেম্বার এর মধ্যে তৃণমূলের মেম্বার আটটি, সিপিএমের দুটি, ও কংগ্রেসের দুইটি।গতমাসে প্রধান অঞ্জনা সরকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত মেম্বারদের কে নিয়ে একটি জেনারেল মিটিং করেন,যে জেনারেল মিটিং এ গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ গুলি করার কথা ঘোষিত হয়। কিন্তু বিরোধী চার জন মেম্বার সহ আটজন তৃণমূল মেম্বারদের অভিযোগ , গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জনা সরকার জেনারেল মিটিং এর পরবর্তী সময়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে ক্ষমতার বলে শুধুমাত্র নিজের এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ গুলি করার জন্য টেন্ডার করছেন। বিষয়টি জানার পরে বিরোধী মেম্বারসহ শাসকদল তৃণমূলের মেম্বাররাও বৃহস্পতিবার গ্রাম পঞ্চায়েত গিয়ে প্রধান কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান।
এ বিষয়ে হরিরামপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হাতেম আলী ও পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বার প্রেমচাঁদ নুনিয়া ,সিপিআইএম মেম্বার চন্দন মুর্মু অভিযোগ করে জানিয়েছেন,গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে নিজের এলাকায় উন্নয়নের কাজ গুছিয়ে নিচ্ছেন প্রধান অঞ্জনা সরকার ও তার স্বামী নারায়ণ সরকার। তাদের আরো অভিযোগ,মিটিং এর রেগুলেশন কপি প্রধানের কাছে চাইতে গেলে টা দিতে নারাজ প্রধান বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে গ্রামবাসী রামচন্দ্র মুর্মু ও হেভা মুর্মু জানিয়েছেন,তাদের এলাকায় রাস্তা সহ অন্যান্য উন্নয়ন মূলক কাজ না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জনা সরকার,ও প্রধানের স্বামী নারায়ণ সরকার জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের সমস্ত আইন মেনেই উন্নয়নমূলক কাজ গুলি করা হবে।অর্থের মিটিংয়ে, অর্থের উপর ভিত্তি করে এলাকার উন্নয়নের কাজগুলো করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থের মিটিংয়ে মেজরিটি উপর ভিত্তি করেই সমস্ত উন্নয়নের কাজগুলো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।