শীতল চক্রবর্তী গঙ্গারামপুর ২০ জুলাই দক্ষিণ দিনাজপুর:- তপন দিঘী ইস্যুতে এবার ভূমি সংস্কার দপ্তরে মিছিল করে ডেপুটেশন দিলো বিজেপি নেতৃত্বরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের বি এল আর ও জানালেন সমস্ত নিয়ম মেনেই দিঘী সংলগ্ন এলাকায় জমি কিনেছেন তারা। পরে তা রেকর্ড করা হয়েছে। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে সুর চালিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ ও বিজেপির জেলা সভাপতি। পাল্টা সুর চালিয়েছেন জমি কেনা গ্রাহক ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীও ।
সম্প্রতি বালুরঘাটে অনলাইনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তপন দিঘী পার্শ্ববর্তী জমি হস্তান্তর হবার ঘটনায় অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ। রাতারাতি 10 তৃণমূল নেতার নামে ওই জায়গার রেকর্ড হলেও কিভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ঘটনায় মন্ত্রী, গঙ্গারামপুর এর বিধায়ক গৌতম দাসের প্রভাব খাটিয়ে এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও তপন দিঘী পাড়ের জমি কেনা রিন্টু বসাক জানিয়েছেন, ২০ মার্চ আমরা উনার কাছ থেকে জমি কিনেছিলাম। পরে তা রেকর্ড করা হয়েছে সমস্ত নিয়ম মেনেই। যারা অভিযোগ করেছেন তারা ঠিক অভিযোগ করছেন না।
সোমবার বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন এর নেতৃত্বে মিছিল করে দিঘীর ঘটনা নিয়ে তপন বি এল আর ও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেন মিছিল করে।
পরে বিনয় বাবু জানিয়েছেন, চরম অন্যায় করেছে শাসকদলের নেতারা। সেই কারণে এমন আন্দোলনে নামা হয়েছে। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।
বালুরঘাটের সাংবাদিক বৈঠক করে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কি অভিযোগ করেছিলেন তা একবার শুনে নেব তার মুখ থেকে।
সাংসদের অভিযোগের পাল্টা মুখ খুললেন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদাও। তিনি বলেন, নিয়ম মেনে জমি কিনেছে কারো জায়গা। তাছাড়া বিজেপির এই নোংরা রাজনীতি মানুষ ভাল চোখে নেবেনা।
তপন ব্লকের বি এল আর ও মধুসূদন বণিক জানিয়েছেন, ২০ মার্চ 10 জন জায়গা কিনেছে মহিলার কাছ থেকে। পরে তার রেকর্ড করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়মের প্রশ্নই নেই।
এখন সেটার এটাই এই বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।